ডিজিটাল অর্থনীতি ও ধর্মীয় বিধান
ডিজিটাল অর্থনীতি বলতে আমরা বুঝি আধুনিক পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।
বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক এবং মুদ্রা ব্যবস্থার যে অবস্থা তাতে করে বোঝা যাচ্ছে ধরা ছোঁয়া যায় এমন মুদ্রা আমরা হারাতে চলেছি অচিরে সারা বিশ্বে ইলেকট্রিক মুদ্রা অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচলন শুরু হয়ে যাবে। হয়তো এমন এক সময় আসবে যখন আমরা বাজারে আলু পটল কিনতে গেলেও এই মুদ্রা ব্যবহার করব।
 ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে যাকাত,এখন আমার প্রশ্ন হল ঠিক সেই সময় আমাদের কি  ক্রিপ্টোকারেন্সির উপরও যাকাত পরিশোধ করতে হবে?
কিছুদিন আগে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের একটি খবরে জানতে পারলাম মালোশিয়ায় নাকি ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নাকি যাকাতের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ আছে যে মালয়েশিয়া মোট বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৫৪.২ শতাংশ কিপ্টো কারেন্সিতে সম্পৃক্ত এবং তাদের হাতে প্রায় ৪৩ হাজার ৫২৬ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে। এই বিশাল পরিমাণ সম্পদকে যাকাতের আওতাভুক্ত করতেই নাকি এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে
সেখানে বলা হয়েছে ," অর্থনীতি যেহেতু ডিজিটাল হচ্ছে, আমাদেরও ধর্মীয় বিধানগুলোর আধুনিকীকরণ করতে হবে"

বর্তমান সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি যে পরিমাণ বিস্তার লাভ করছে তাতে বলা যায় অদুর ভবিষ্যতে মালোশিয়ার মত বিভিন্ন দেশ ক্রিপ্টো কারেন্সিকে যাকাতের আওতাভুক্ত করবে।


এ বিষয়ে আপনাদের কি মতামত দয়া করে জানাবেন।

বাঙালির এটাই সমস্যা। আবেগ বেশি, বিবেক কম। এজন্য কোনো কিছু পাইলেই আবেগের বশে সেটা চালায় দিবে, লল। আসলে ঘটনা সত্য না মিথ্যা তা একবারো যাচাই বাছাই করবে না।

আজকে একটা ভিডিও দেখলাম যেখানে এক ফিলিস্তিনি ভাই বো*মা মেরে একদল হিজরা-ইলিদের উড়ায়ে দিসে। এটা দেখে সবাই আমিন আমিন বলতেছে, গনহারে শেয়ার দিতেছে। আর এদিকে এটা ৬-৭ মাসের পুরানো ভিডিও। কিছু হইলেই ছবিতে, ভিডিওতে গান লাগায়ে কনটেন্ট ব্যবসা করবে। আর মানুষও সেটা উড়াধুরা খাবে।

বাইদাওয়ে লোকালে এতো এতো অপরিচিত মুখ তাও আবার সেইম টাইমফ্রেমে খুব কমই নোটিস করছি!

দাম এখনো নির্ধারন করা হয় নি। তবে আনুমানিক ১২০ ডলার হতে পারে। এর চেয়ে বেশীও হতে পারে। যাইহোক স্টারলিংক বাংলাদেশে আসছে এটা আনন্দের বিষয়। বাংলাদেশে ইন্টারনেট এর এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে স্টারলিংকের মাধ্যমে। বিশেষকরে যারা ফ্রীল্যান্সার আছে তাদের জন্য স্টারলিংক বেশ লাভজনক হবে। হোম ইউজারদের মধ্যে কতটুকু সাড়া ফেলতে পারবে জানিনা তবে কর্পোরেট গ্রাহকদের মাঝে স্টারলিংক ব্যাপক সাড়া ফেলবে আশা করি।

জনপ্রতি ১২০ ডলার না। একটি ডিভাইসে মাসিক প্যাকেজ ১২০ বা অন্য প্রাইসের হবে। প্রাইস অনুযায়ী স্পীড দেওয়া থাকবে প্রতি প্যাকেজে। একটি ডিভাইসে নির্দিষ্ট পরিমানে ইউজার কানেক্ট হতে পারবে যারা সবাই নির্ধারিত স্পীড ভাগাভাগি করে চালাতে পারবে।

না ভাই, ছিড়া গেন্জি!



এগুলো দিয়ে আসলে টাইমলাইন ভরপুর। এখন সবাই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। সবাই ফলোয়ার্স, হাইলাইটস ট্যাগ মারে। ইভেন এ আই জেনারেটেড ভিডিও পোষ্ট করে করে বলে সুবাহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, হ্যান ত্যান। কালকে দেখলাম একটা ইসলামিক ফেইসবুক পেইজ থেকে ভিডিও গেমস এর ভিডিও শেয়ার করে বলতেছে যে হামাস ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করছে। আর সেই পোষ্ট এর কমেন্টে অনেকেই আজে বাজে কমেন্ট করছে। এদের নূন্যতম কোনো কমন সেন্স নাই।

যে দেশের ইসলামিক গজল কিংবা কুরআনের কোন আয়াতে মিউজিক দিতে পারে এবং সেই মিউজিক অ্যাড করে মেয়ে মানুষের হেঁটে চলা অথবা ভাবভঙ্গি ভিডিও করে টিকটকে ছাড়তে পারে সেই সকল দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আপনারা কিভাবে মানুষ করবেন। তাদের একটাই টার্গেটরে ভাই এরা টাকা ছাড়া কিছু বোঝেনা কিভাবে সহজ রাস্তায় টাকা উপার্জন করা যায় সেই চিন্তায় সব সময় ব্যস্ত থাকে। কোনটা মানুষের উপকারে আসবে এবং কোনটা মানুষের উপকারে আসবে এইরকম বাস্তবমুখী চিন্তাভাবনা তাদের মাথায় কোনদিনও আসবেনা।

ভাই যে প্রাইসের কথা বললেন, তাতে আমার মতো গরীব লোকদের জন্য না, এই ব্যয়বহুল স্টারলিংক বড়লোকদের জন্য, আমার জন্য ৫০০-৬০০ টাকার এমবির প্যাকেজ যথেষ্ট। আর ওয়াইফাইতে ৫০০ টাকা+ফোনে ৫০০ টোটাল ১০০০ টাকা হলেই এক মাস চলে যায়। আপনি ১২০ ডলারের কথা বলেছেন, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫k মতো হবে, এত টাকা খরচ করার চেয়ে না করাই ভালো। এখন যাদের অনেক টাকা রাখার যায়গা নেই, তারা স্টারলিংক আনতে পারেন।

আর এইটা সম্পর্কে যদি ধারনা থাকে, তাহলে আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই, এখন এটা তো ওয়াইফাই এর মতোই হবে? যদি তাই হয় কতটুকু দূরত্ব পর্যন্ত সার্ভিস পাওয়া যাবে?

আমার মনে হয় পৃথিবীর কোন কারেন্সিই বিকেন্দ্রীক নয় ,,, যেহেতু এদের ভ্যালু আছে এবং এগুলো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় ,,,তাইতো বিশ্ববাজারে যদি বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হয় ভ্যালুয়েবল জিনিসের দাম আরো বৃদ্ধি পায়,, যেমন ধরুন শেয়ার মার্কেটে ক্রয়কৃত শেয়ার।

এটা ওয়াইফাই এর মতোই নির্দিষ্ট একটা দুরত্ব পর্যন্ত কানেকশন পাওয়া যাবে। তবে এটা সেটাপ করা যাবে যেকোনো জায়গায়, দুর্গম অঞ্চল যেখানে ফাইবার কানেকশন নেওয়া সম্ভব না সেখানেও এটা সেটাপ করা যাবে।

ভাই ৫০০ টাকার গ্রাহক মুলত তাদের টার্গেট না। তাদের মেইন টার্গেট হলো কর্পোরেট গ্রাহকরা। আমার জানামতে এমন হাজারো মানুষ আছে যারা ষ্টারলিংক লুফে নিবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সার এজেন্সি, আইটি ফার্ম তারাই হলো স্টারলিংক এর মূল টার্গেট।