আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম এক নেতার সাথে। সেই নেতা সেই দুর্নীতিবাজ থেকে ঘুষ নিয়ে তাকে আরো হেল্প করেছে। পরবর্তীতে যখন আওয়ামী লীগ সরকার পালালো তখন বিএনপির ছান্ডাকে বললাম ভাই লোকটা তো দুর্নীতি করতেছে, সাধারণ কৃষকদের হক মেরে খাচ্ছে। কিছু করেন। সে বলল আমাকে তাদের পেছনে পাঁচ বছর ঘুরতে হবে, তারপর নাকি তারা আমাকে তাদের কমিটিতে নিবে, এবং ভাগ বাটোয়ারার ওয়ারিশ বানাবে।
আমার উত্তর: আমি কখনোই কোন কমিটিতে যাবনা। অন্যের হক মেরে খাওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই। আপনারা কমিটিতে আপনি থাকেন। এই বলে চলে এসেছি।
আবার এলাকার এক জামাত নেতার রে বললাম ভাই এই দুর্নীতি কি কোন কারনে বন্ধ করতে পারবেন। কয় ভাই আমাদের তো ক্ষমতাই নাই, আমাদের কথা কোন জায়গায় খাটে না। তবে আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে কোন দুর্নীতি থাকবে না শিওর থাকেন। আসলেও বড় বড় শিক্ষা ক্যাডার, বিসিএস ক্যাডার, অফিসার্স, মাঠকর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সবাই বিএনপির কথা একটু আকটু শুনে। অন্য দলের কথা শোনে না।
আমি কোন দল করি না। আমাকে টেনেটুনে কোন দলে নেবেন না। আমি নিরপেক্ষ আমজনতা। দেশটা ভালো থাকুক, দেশের মানুষের উন্নতি হোক। সবাই ভালো জীবন যাপন করুক এটাই কামনা।
আর হঠাৎ জামাত এর এত জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে প্রথম কারণ আমি মনে করি এরা সুসংগঠিত ভাবে এদের সকল কার্যক্রম চালু রাখে এবং সেই সাথে সাথে যারা জামাত করে তারা মেধা, চরিত্র এবং ব্যবহার সব দিক থেকেই অন্যান্য দলগুলোর নেতাকর্মীর দিক থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
আর তাছাড়া আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে জামাত এর বিরুদ্ধে এতদিন যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে সেগুলো যে মিথ্যা এই বিষয়গুলা বর্তমানে প্রমাণিত হচ্ছে। আর তাছাড়া যেহেতু এটি ধর্মকে গুরুত্ব দেয় এবং আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এটার জন্য জামাত ভোট বেশি পায়।
হ্যাঁ, ভাই আমি আপনারা সাথে একমত। বর্তমানে বাংলাদেশে যে কয়েকটি দল রয়েছে তার মধ্যে জামাত ইসলামী দলের লোকজনের আচার ব্যবহার ভালো। এদের নামে কোন বাজে রিপোর্ট দেখি না। আর বিএনপি লোকেরা অলরেডি তাদের পাওয়ার দেখাচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের পুর্বে আওয়ামীলীগের পাতি নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যেত না, আর এখন বিএনপির লোকেদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না। কোন দলই ভালো না, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কোনটিই সুবিধার নয়। আর জামাত ইসলাম এখনো একবারো ক্ষমতায় যায় নাই, তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা যাচ্ছে না যে তারা কেমন আচরণ করবে, যেহেতু ইসলামী দল তাই আশা করা যায় ভালো আচরণ করবে। পুর্বে বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো তাদেরও কার্যক্রম ভালো ছিলো না।
আর এখন আমাদের এলাকায় বিএনপির লোক বেশি হয়েছে, যারা পূর্বে আওয়ামীলীগ ছিলো তারা এখন বিএনপির পিছনে ঘুরে, আর বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে বিএনপির নেতারা বিশাল অংকের চাদা নিয়েছে। এটাই বাংলাদেশ।
আর যদি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপি নেতারা এমন বাজে কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে তাদের জনপ্রিয়তা অনেক কমে যাবে, লোকেরা জামাতে ভোট দিবে।
DS যেমন বলেছে আসলে এটাই ঠিক, ধানের শীষ আর নৌকা এসের বিষ একই রকম।
ভাইরে ভাই। বিএনপির কিছু কিছু অসাধু নেতার কারণে পুরো দলের ক্ষতি হচ্ছে। যেমন আমাদের টাউনে একটি বিল্ডিং এ মার্কেটের কাজ হচ্ছে, সেটা আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সেখানে অনেক লোক টাকা পয়সা খরচ করে, দোকান দলিল করে নিয়েছে । কিন্তু বিএনপির আন্ডা নেতা সেই মার্কেটের সব দোকান দখল করছে, এবং কাজ শেষ হতে না হতেই অতিরিক্ত টাকা দাবি করতেছে। তবে টাউনের অন্যান্য কিছু নেতা এটির সমর্থন করে না। আমার পরিচিত একজন নিত্যান্তই ভাল মানুষ, এরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ভালো মানুষ সব দলে আছে, আবার খারাপ মানুষও আছে। শুধু পারসেন্টেন্স একটু কম আর বেশি।
লাস্টে ঐ একটাই কথা, "নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের একই বিষ".. লল।
এটা আবার পাবলিকলি মানুষের সামনে বলতে যাই না। তাইলে ওই যে ফজলু পাগলার লোকজন আছে না, তারা আপনার জিব্বা কেটে কুত্তা দিয়ে খাওয়ায় দিব। তখন হবে আরেক বিপদ। আমি অফলাইনে আজ অবধি কোন রাজনৈতিক আলোচনায় জড়ায়নি। অনলাইনে টুকিটাকি আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হয় আমি সেটাই লিখি। কিছু কিছু নগ্ন মানুষ দেখলে আসলে আমার নিজের খুব লজ্জা লাগে। কিন্তু এদের কোন লজ্জা আছে বলে আমার মনে হয় না। রাজনীতি মানেই মিথ্যা। যে যত বড় বড় মিথ্যা কথা বলতে পারে সে ততো বড় নেতা হয়।
আমার এলাকায় তো আমি দেখছি, আমাদের লোকাল বাজারের সবগুলা ভাংগারি দোকানদার বিএনপিএ নেতাদেরকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা চাঁদা দেয়। অনেকেই আছে যারা চাঁদা দেয় নাই বলে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিছে। এভাবেই চলছে, কুত্তা লীগ আর কুত্তা দল, সব একই আসলে।
আমরা চাঁদা দিতে পারব না ভাই। গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমরা খুবই বিরক্ত। দিন আনি দিনে খাই, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। ৫০০ টাকা রোজ ৩০০০-৩৫০০ টাকা ইনকাম করি সপ্তাহে। পরিবার নিয়ে খুবই অসুবিধায় আছি। আর বসতবাড়ির জন্য নাকি সরকার বছরে ৭০০-১০০০ টাকা কর ধার্য করেছিল। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের কথা বললাম। আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে ঠিকই, কিন্তু চাঁদা আদায়ের রশিদে ১০০ টাকা উঠিয়েছে। অথবা কারো কারো ৭০ টাকা। তাহলে অতিরিক্ত ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা কোথায় গেল। এটাও চাঁদাবাজি ছিল। তবে কিছু কিছু জায়গায় শোনা যাচ্ছে, বিএনপি নাকি, আমাদের মত নিরীহ লোকদের কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করতেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। গরিবরা কি সারা জীবন শোষণের শিকার হবে? নাকি নতুন দল ক্ষমতায় আসলে রেহাই পাবে?
আমি Zealy, Galxe এ কাজ করি বিভিন্ন প্রজেক্টের টেস্টনেট, মেইননেট প্রমোশনে।
২০২৩ এ যারা টেস্টনেটে কাজ করেছে, তারা অনেকেই মিলোনিয়ার হয়েছে। যেহেতু আড়াই বছর ধরে আপনি এখানে সক্রিয় না। ধারণা করে নিচ্ছি আপনিও মিলোনিয়ার হয়েছেন। কারণ ফোরাম যারা একবার আসে, তারা ফিরে যেতে পারে না। কারণ এখানে ইনকামের সুযোগ আছে। তাই আপনার millionaire এর গল্পটা একটু শুনতে চাই। কোন প্রজেক্ট থেকে মাল মারছেন। শেয়ার করে আমাদের একটু আমাদের মোটিভেট করুন।
[moderator's note: multiple posts have been merged]