কারা জানতো আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে একটা ওয়েবসাইটে ঢুকলেই ৫ টা করে বিটকয়েন দিত। মানে এই ফাউসেটের কথা বললাম যেখানে একজন ইউজারকে ৫ টা করে বিটকয়েন দিতে হয়তো ওয়ালেট এড্রেস দিয়ে ক্লায়েইম করতে হতো। যারা বিটকয়েনের এই ফাউসেট করে ওয়ালেটে রেখে দিয়েছিল তারা আজকের দিনে ৫০০k ডলারের মালিক মানে আমাদের দেশে কেউ যদি ভুলেও করে রাখতো তাহলে অবশ্যই আজকের দিনে ৬ কোটিরও উপরে টাকা পেত।
এই সব নিউজ দেখে শুধু আফসোস করতে হয়, মনে হয় হায় যদি আমার কাছে একটি বিটকয়েন থাকতো তাহলে আজকে কোটি টাকার মালিক থাকতাম। তখন আবার মনে হয় ওই সময় বিটকয়েন সম্পর্কে জানলেও এতটা গুরুত্ব দিতাম না, তখন কে জানতো বিটকয়েনের দাম ১ লক্ষ্য ডলার হবে। যদি তাই হতো তাহলে লাসজলো হ্যানিয়েজ নামক ব্যাক্তিটি দুটি পিজ্জার জন্য ১০০০০ বিটকয়েন খরচ করতো না, তিনি বর্তমান সময়ের জন্য রেখে দিতেন, তবে কোন এক পোস্টে দেখেছিলাম যে লাসজলো হ্যানিয়েজ ১০০০০ বিটকয়েনে খরচ করার জন্য কোন আফসোস করে না।
যাইহোক, বিটকয়েনের যেহেতু সাপ্লাই সিমিত, যার ফলে ভবিষ্যতে বিটকয়নের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে এবং বিটকয়েনের দামও অনেক বেড়ে যাবে, দেখা যাবে কোন একসময় বিটকয়েনের দাম মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়েছে।
এখন আমার জন্য আফসোস করেও কোন লাভ হবে না, কারন আমি ২০১৪-১৫ সালে খুবই ছোট ছিলাম, তখন মোবাইল ব্যবহার করতে পারি নাই, আমাদের বাড়িতে তখন নকিয়া ফোন ছিলো, শুধু কথা বলা যেতো, আমি ২০১৯ সালে স্মার্ট ফোন কিনেছিলাম, তখন বিটকয়েন সম্পর্কে কোন ধরনের নিউজ সংবাদ কিছুই জানতাম না। তাই একটা বিষয়ে চিন্তা করি আফসোস করে লাভ নেই, এখন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা উচিত, কারন দেখা যাবে ভবিষ্যতে বিটকয়নের দাম মিলিয়ন ডলার হয়েছে, তখন বর্তমান সময়টা মিস করতে হবে।